ডি আই সি ও
পশ্চিমবঙ্গ সরকার
তথ্য ও সাংস্কৃতিক দপ্তর
জেলা তথ্য ও সাংস্কৃতিক আধিকারিক, বীরভূম
সিউড়ী, বীরভূম
তথ্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক অধিদপ্তর পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সকল তথ্য এবং জনসম্পর্কমূলক কর্মকাণ্ডের নোডাল এজেন্সি। এটি প্রেসের সাথে কাজ করে, সরকারের নীতিগুলি প্রচার করে এবং মানুষের মধ্যে বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করে। এটি জনসাধারণের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে সরকারকে সচেতন রাখে।
এই বিভাগ বাংলার শিল্প ও সংস্কৃতি প্রচার করে। ফিল্ম এবং কেবল সম্পর্কিত সমস্যাগুলি এই বিভাগের সাথে দেখা হয়। এটি সাহিত্য, শিল্প ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের জন্য রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান, উত্সব, মেলা এবং পুরষ্কার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের পাশাপাশি সংগঠনগুলির আয়োজন করে।
লোকপ্রসার প্রকল্প
বাংলার বিভিন্ন লোক সংগীত রূপকে পুনরজ্জীবিত করতে এবং উপস্থাপনের জন্য, লোকপ্রসার প্রকল্প নামে একটি অনন্য প্রকল্প যা পশ্চিমবঙ্গের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী, শ্রীমতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর মস্তিষ্ক শিশু, যা রাজ্য জুড়ে ডানা ছড়িয়ে দিয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সের লোককলা শিল্পীরা প্রতিমাসে ১০০০ / – টাকা রেটেনার ফি হিসাবে পান। সিনিয়র শিল্পীরা, যারা ৬০ বছরের বেশি বয়স্ক পেনশন হিসাবে প্রতি মাসে ১০০০ / – টাকা পান। এগুলি ছাড়াও সক্রিয় পারফরম্যান্সগুলি প্রতি প্রোগ্রাম পারফরম্যান্স ফি হিসাবে ১০০০ / – টাকা করে। এগুলি সরাসরি লোকশিল্পীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হয়। তালিকাভুক্ত লোক শিল্পীদেরও ছবি পরিচয়পত্র দেওয়া হয়েছে। লোকশিল্পীরা তাদের অভিনয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন অনন্য পরিকল্পনা যেমন কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, শিক্ষাশ্রী ইত্যাদি প্রচার করেন। যৌতুক, বাল্য বিবাহ এবং পাচারের কুফল ইত্যাদির বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়াতে এবং স্বাস্থ্য ও স্যানিটেশন সম্পর্কিত বার্তাগুলিও এই এলপিপি বার্তাবাহকদের মাধ্যমে কার্যকরভাবে ছড়ানো হচ্ছে। এই প্রকল্পটি কেবলমাত্র বাংলার লোকশিল্পীদের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতাই প্রদান করে নি, এটি ঐতিহ্যবাহী লোকশিল্প রূপকেও পুনরুত্থিত করেছে।
যোগাযোগের ঠিকান
জেলা তথ্য ও সাংস্কৃতিক আধিকারিকের কার্যালয়
পুরাতন সার্কিট হাউস, লালকুঠি পাড়া
সিউড়ী, বীরভূম, পশ্চিমবঙ্গ
ফোন – ০৩৪৬২-২৫৬৩০৭
ই-মেল : birbhumdico[at]gmail[dot]com